দেশের উন্নতির প্রমাণ হলো সড়ক ব্যবস্থা এবং পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাসড়ক হলো আর্জেন্টিনা দেশের ন্যাশনাল রাউট ৩। এটির মধ্যে সর্বাধিক প্রস্থ প্রায় ৪০,০০০ কিলোমিটার। এই মহাসড়কটি পর্যটনে অনেকগুলো সম্পদ প্রদান করে, যেমন ঘন বন, উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চল এবং শুষ্ক মরুভূমি। এই সড়কটি দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য চারটি দেশ, যারা হলো ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া এবং উরুগুয়ে, সাথে সংযুক্ত। এই দীর্ঘ রাস্তার মাধ্যমে আপনি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের উপভোগ করতে পারবেন।
এই মহাসড়কটির পাশে চলাচলের সময় আপনি কখনোই বলতে পারবেন না, কারণ এর মধ্যে যাত্রীদের প্রতিদিন ৫০০ কিলোমিটারের বেশি চলাচল করতে হবে। কিন্তু আনুমানিক ভাবে বলতে গেলে, এই মহাসড়কে যাত্রীরা মাঝে মাঝে স্থানীয় গ্রামগুলোতে থামে এবং উপভোগ করে তাদের স্থানীয় সংস্কৃতি, রান্নাবান্না এবং আদর্শগুলো সাম্প্রতিক করে তুলে ধরে।
আর্জেন্টিনা দেশের ন্যাশনাল রাউট ৩ সম্পর্কে সম্পর্কিত তথ্য পেতে আপনি আরও বিস্তারিত গবেষণা করতে পারেন। এই মহাসড়ক আপনাকে অনুভব করাবে যে দেশের সাথে সংযুক্ত হয়ে চলেছেন এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যের মধ্যে ভ্রমণের একটি সুযোগ প্রদান করবে।
পৃথিবীর দীর্ঘতম সড়ক হলো “প্যান আমেরিকান হাইওয়ে” (Pan American Highway)। এটি একটি মহাসড়ক পথ যা মোটমাত্র ৩০,০০০ কিলোমিটার বা ১৯,০০০ মাইল দৈর্ঘ্যের। এই রাস্তাটি আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশগুলিতে ছড়িয়ে প্রসারিত হয়েছে। এটি গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে সংযুক্ত এবং বিশ্বের দীর্ঘতম “মোটেরেবল রোড” হিসেবে পরিচিত।
প্যান আমেরিকান হাইওয়ের নির্মাণের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার সমস্ত দেশগুলিকে একসাথে সংযুক্ত করা। এই দীর্ঘ সড়কটি উত্তরে কোস্টারিকা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় প্রসারিত। দক্ষিণে প্যান আমেরিকান হাইওয়ে পাঁচটি দেশের মধ্য দিয়ে গেছে, যাদের মধ্যে আর্জেন্টিনা, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং পেরু উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও এই সড়কটি দক্ষিণ আমেরিকার অন্য চারটি দেশের সাথে সংযুক্ত, যা হলো ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া এবং উরুগুয়ে। এই দীর্ঘ রাস্তাটির মাধ্যমে আপনি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখতে পারবেন, যেমন ঘনবন, উষ্ণমণ্ডলীয় এলাকা এবং শুষ্ক মরুভূমি।
এই মহাসড়কের পাশাপাশি চলাচলের সময় আপনি কখনো করে বলতে পারবেন না, কারণ এর মধ্যে যাত্রীদের প্রতিদিন ৫০০ কিলোমিটার বেশি চলাচল করতে হবে। কিন্তু আনুমানিকভাবে বলতে গেলে, এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে ৬০ দিনের বেশি সময় লাগবে। এই সড়কটির অতিক্রম বিশ্বের একজন সাইক্লিস্ট নামক কালরস সান্তামারিয়া একজন সাইক্লিস্ট ব্যবহার করে করেছেন। তার এই উদ্যোগের ফলে তিনি গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বইয়ে নাম করেছেন।