নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমানে, অনলাইন লেনদেন এবং ডিজিটাল পরিষেবাগুলির একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে এটিএম কাউন্টার এবং এটিএম কার্ডের ব্যবহার কমেছে না। এটিএম কার্ড (ATM Card) মানুষের জীবনে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমনটি দেখা যায়, এই কার্ড ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক ক্ষমতা সংরক্ষণ করতে সক্ষম এবং নগদ লেনদেনের জন্য স্বাধীনতা প্রদান করে। এটিএম কার্ড দ্বারা লোকেরা যেকোনো স্থানে নগদ উত্তোলন করতে পারে যেখানেই এটিএম মেশিন রয়েছে। এর পাশাপাশি, এটিএম কার্ড সহজেই পেমেন্ট এবং ক্রেডিট কার্ডের মতো ব্যবহার করা যায়, যাতে লোকেরা বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থানে পণ্য ক্রয় করতে পারে।
এটিএম কার্ড ব্যবহার করার একটি অন্যান্য সুবিধা হলো সহজতর প্রয়োগ। এটিএম মেশিন সাধারণত প্রয়োগ করা হয় এবং প্রত্যেকের জন্য সহজভাবে ব্যবহারযোগ্য। ব্যক্তিগত পিন নম্বর ব্যবহার করে কার্ড চালিয়ে নগদ উত্তোলন করা যায় এবং লেনদেন সম্পন্ন করা যায়। এছাড়াও, এটিএম কার্ড পাসওয়ার্ড, একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ বা অবধির মধ্যে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ব্যবহার বন্ধ করে দিয়ে সুরক্ষিত করে থাকে।
এটিএম কার্ড এবং অনলাইন লেনদেনের সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে সচেতন হওয়া উচিত। লেনদেনের সময় এটিএম কার্ডে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত আছে। এই তথ্যগুলির মধ্যে একটি মেজর ইন্ডাস্ট্রি আইডেন্টিফিয়ার (MII) নম্বর রয়েছে যা ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের চিহ্নিতকরণ করে। প্রথম পাঁচটি সংখ্যার পরিমাণের IIN বা BIN নম্বর থেকে বোঝা যায় যে কোন সংস্থা এই কার্ড ইস্যু করেছে। এছাড়াও, শেষ একটি নম্বর হলো চেকসাম ডিজিট, যা কার্ডের বৈধতা সনাক্ত করে।
এটিএম কার্ডের এই গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যাগুলি দ্বারা ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য, যেমন একাউন্ট নম্বর ও যে ব্যাংকে একাউন্ট খোলা হয়েছে, প্রকাশ করা যায় না। কার্ড পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এবং ব্যক্তিগত পিন নম্বরটি সংরক্ষণ করে রাখা উচিত যাতে কেবলমাত্র কার্ডের মালিক লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন। যদিও এই সার্ভিসগুলি সহজ এবং সুরক্ষিত, তবু প্রতিদিনের ইউপিআই অথবা ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে এটিএম কার্ড এবং এটিএম কাউন্টারের ব্যবহার এখনও গুরুত্বপূর্ণ বহন করে এসেছে।